এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া আটটি সিনেমা নিয়েই বেশ আলোচনা হয়েছে। চিত্রনায়ক সাইমন মনে করেন, এই আলোচনা গোটা চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক। আর এতো আলোচনা হচ্ছে প্রচারণার কারণে। ‘পোড়ামন’ খ্যাত এই নায়কের কথা, সবগুলো সিনেমার কথা দর্শক জানে এর অন্যতম বড় কারণ প্রচারণা। সিনেমার জন্য প্রচারণার স্টাইল এই ঈদে কাজে লেগেছে বলে মনে করেন সাইমন সাদিক। তিনি বলেন, অল্প হওয়ার পরেও সিনেমাগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে কনটেন্ট হিসেবে যেটা যেটা ভালো সেগুলো দর্শক বেশি দেখছে। যেমন ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ এবং ‘জ্বীন’র কথা বেশি শুনছি।
এদিকে সিনেমা ভালো যাচ্ছে এতে ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হচ্ছে। সাইমন বলেন, প্রযোজকরা লগ্নী করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। এতে করে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। মানুষ হলে গিয়ে ছবি দেখছেন এতে এটা আমিও এনজয় করছি। কারণ মানুষ হলমুখী হচ্ছেন বিধায় আমাদের প্রযোজক টাকা রিটার্ন পাচ্ছেন।
প্রযোজক পরিচালকদের উদ্দেশ্যে সাইমন বলেন, আগামীতে আপনারা যারা ভালো সিনেমা নিয়ে আসছেন তারা প্রচারণাটা ঠিক ভাবে করবেন। তাহলে ভালো কাজগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে না। দরকার হলে প্রচারণার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত। কারণ দিনশেষে প্রচারণাই সবচেয়ে বড় প্রসার।
ইন্ডাস্ট্রির বড়বড় তারকারা যদি মাল্টিকাস্টে ছবি করেন তাহলে বিষয়টি কেমন হতে পারে? সেই প্রসঙ্গ আসতেই হেসে দিয়ে সাইমন বলেন, অনেক তারকা আর্টিস্ট একসঙ্গে কাজ করলে তো ভালো হয়। যেমন আমার যদি একজন দর্শক থাকে তাহলে শাকিব ভাইয়ের দশজন দর্শক আছে। মাল্টিকাস্টে ছবি করলে সবার দর্শক একসঙ্গে হলমুখী হবে। এটা ভালো।
তিনি আরও বলেন, “মাল্টিকাস্টে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে জিঞ্জিরসহ অনেক বড় বড় সিনেমার জোয়ার ছিল। কদিন আগে এই প্রসঙ্গটা আমাকে একজন বলছিলেন। আমি বলেছি একশো পারসেন্টের মধ্যে শাকিব খান যদি ষাট পারসেন্ট থাকেন এবং আমি চল্লিশ পারসেন্ট পাই তাহলে সেই কাজটি আমি অবশ্যই করবো। কারণ, একটি সিকোয়েন্স পেলে অনেকসময় অভিনয় দক্ষতা বোঝানো যায়। দশ বছর কাজ করলেও আমি মনে করি এখনও নতুন।”
সাইমন আরও বলেন,‘আমি ভালো কাজ করতে পারলে অবশ্যই করবো। মৃত্যুর পরে যেন দর্শক বলতে পারে সাইমন ভালো করতো বা ভালো কাজের চেষ্টা করবো।’